কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে দেড় হাজারের অধিক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের স্বপ্নের ঠিকানা পেতে যাচ্ছে। মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এসব ঘর পেয়ে খুশি তারা। বছরের পর বছর ভাঙা ঘরে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করা এসব পরিবার বিনামূল্যে ঘর পেয়ে আপ্লুত ।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলাতেও ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে ঘর। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়। স্বপ্নের মতোই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আপ্লুত এসব সুবিধাভোগীরা। ঘরের সাথে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে ভীষণ খুশি এসব গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার।
দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ-২প্রকল্পের আওতায় নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ফুট, প্রস্থ ২২ফুটসহ সাড়ে ৮ ফুট উচ্চতা সম্বলিত একটি ঘরে বারান্দা, ৮ ফুট করে দু’টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি লেট্রিনের ব্যবস্থা। ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে দেড় ফুট মাটির নিচে ১০ইঞ্চি ইটের উপর ঘরের ৫ইঞ্চি দেয়ালের গাঁথুনি দিয়ে। ঘরের মধ্যে টানা লিনটেল নেই। শুধুমাত্র দরজা, জানালার উপর ছোট-ছোট লিনটেল দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭১হাজার টাকা। তথ্যানুসন্ধানে দেখাযায়, জেলার ১৬টি নদ-নদীর ৩১৬কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে কুড়িগ্রামে ৯টি উপজেলায় ৩টি পৌরসভা এবং ৭৩টি ইউনিয়ন। এরমধ্যে ৬০/৬৫টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়। মূল ভূ-খন্ড থেকে পুরোপুরি বিছিন্ন ৮টি ইউনিয়ন।
এই জনপ্রতিনিধি সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন দ্রুত সময়ে ঘর নিমার্ণ করাই নিচু এলাকায় বন্যার সময় পানিবন্দি হয়ে পড়বে। তাই ভবিষ্যতে সময় নিয়ে ঘর নির্মাণের তাগিদ দেন তিনি।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম,জেলা প্রশাসক,কুড়িগ্রাম জেলায় ৯টি উপজেলায় ১৫৪৯টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ঘরগুলো নির্মানে উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কমিটি নিবিড়ভাবে তদারকি করে ঘরগুলো প্রস্তুত করেছে। এছাড়াও সুবিধাভোগীদের জমি বরাদ্দ, রেজিস্ট্রেশন, ভুমি অফিস থেকে মিউটেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে তা হস্তান্তর উপযোগী করা হয়েছে।